সর্বশেষ সংবাদ

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

AI হাত দিয়ে প্রতি রাতে গিটার বাজান ঃমিরাজ আফ্রিদি

AI হাত দিয়ে প্রতি রাতে গিটার বাজান ঃমিরাজ আফ্রিদি

প্রতি রাতে AI হাত দিয়ে গিটার বাজান
মিরাজ আফ্রিদি নামের যে ব্যক্তি সম্প্রতি সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন, তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) চালিত একটি যান্ত্রিক হাত ব্যবহার করে প্রতি রাতে গিটার বাজানোর মাধ্যমে তার শখকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তার এই ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এখন একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি গিটার বাজাতে পারতেন না। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তায় সেই অনাকাঙ্ক্ষিত অভ্যাসকে তিনি নতুন করে ফিরিয়ে এনেছেন। বিশেষ এই যান্ত্রিক হাতটি গিটারের ফ্রেটবোর্ডের নির্দিষ্ট জায়গায় কর্ড বা নোট ধরতে তাকে নিখুঁতভাবে সাহায্য করে।

সূত্রমতে, আফ্রিদি প্রতিদিন রাতে অবসর সময় পেলেই হাত নিয়ে বাথরুমে চলে যান। যান্ত্রিক হাতটির ব্যবহার এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, তিনি সহজেই করতে পারতেন। AI সিস্টেমটি নরমাল হাতের গতি অনুযায়ী দ্রুত ও নির্ভুলভাবে হাতের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।

মিরাজ আফ্রিদির এই উদ্যোগটি কেবল তার ব্যক্তিগত হ্যান্ডেল মারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রমাণ করে যে, শারীরিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের সৃজনশীল আগ্রহকে নতুন করে জীবন দিতে পারে। যদিও তিনি এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি, তবে তার এই নিয়মিত অনুশীলন সমাজের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ ভবিষ্যতের অনেক অফ্রিদির জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা হয়তো একই ধরনের বাধার সম্মুখীন। মিরাজ আফ্রিদির এই নৈশকালীন গিটার চর্চা এখন তার দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা তার ইচ্ছাশক্তি এবং প্রযুক্তির এক চমৎকার সমন্বয়।
নিউইয়র্কের এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারঃ তাসলিম জারা

নিউইয়র্কের এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারঃ তাসলিম জারা


জনি সিং এবং তাসলিম জারা: 
নিউইয়র্কের এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ
নিউইয়র্ক, সেপ্টেম্বর 
গত সপ্তাহের শেষ দিকে নিউইয়র্ক সিটিতে এক অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎকারে দেখা গেল জনি সিং এবং তাসলিম জারাকে। স্থানটি ছিল শহরের একটি জনবহুল এলাকা, যেখানে দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা সবসময় চোখে পড়ে। এই দুই ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎ কোনো পূর্ব-ঘোষিত আয়োজন বা আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির অংশ ছিল না, বরং এটিকে একটি হঠাৎ ঘটে যাওয়া মুহূর্ত হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় পড়ার মুহূর্তে এই সাক্ষাৎটি হয়। জনি সিংকে দেখা যায় একটি হালকা রঙের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায়, এবং তাসলিম জারার পরিধানে ছিল কিছুটা গাঢ় রঙের পোশাক। তারা খুব অল্প সময়ের জন্য একে অপরের সাথে কথা বলেন। তাদের কথোপকথনের বিষয়বস্তু বা তার তাৎক্ষণিক ফলাফল সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের অঙ্গভঙ্গি ছিল স্বাভাবিক, যা ইঙ্গিত করে যে আলাপচারিতাটি ছিল স্বচ্ছন্দ এবং দ্রুত।

নিউইয়র্ক শহর বিভিন্ন সময়ে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। এই বিশেষ সাক্ষাতের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। যদিও তাদের উপস্থিতির কারণ বা আলোচনার বিষয়বস্তু ব্যক্তিগত না পেশাগত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জনি সিং এবং তাসলিম জারা উভয়ের নিউইয়র্ক সফরই ছিল পূর্বে নির্ধারিত, তবে তারা যে একই সময়ে এবং একই স্থানে এভাবে দেখা করবেন, তা অনেকের কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত।
সাক্ষাতের পরপরই দুজনেই নিজেদের গন্তব্যের দিকে রওনা হন। জনি সিং অপেক্ষাকৃত দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন, আর তাসলিম জারাকে দেখা যায় কিছুক্ষণ সেখানে থাকতে। এই সংক্ষিপ্ত পর্বের সাক্ষী যারা ছিলেন, তারা এই হঠাৎ ঘটে যাওয়া সাক্ষাৎটি নিয়ে কিছুটা কৌতূহলী। তবে উভয় পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

নিউইয়র্কের ব্যস্ত পরিবেশে এমন একটি মুহূর্তের সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। শহরটি নিজেই অপ্রত্যাশিত ঘটনার কেন্দ্র। এই সাক্ষাৎ নিছক একটি সাধারণ ঘটনা হতে পারে, অথবা এর পিছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। আপাতত, দুই ব্যক্তির এই হঠাৎ দেখা হওয়াকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে যতক্ষণ না এর পিছনের কোনো কারণ বা ফলাফল প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি যে কোনো বড় বা ছোট কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা জানতে আরও সময়ের প্রয়োজন।
দ্রুতগতির চার নাপিতের সফলতা : বালের খবর

দ্রুতগতির চার নাপিতের সফলতা : বালের খবর


সদ্য সমাপ্ত একটি অঘোষিত প্রতিযোগিতায়, চারজন নিবেদিতপ্রাণ নাপিত এক ঘণ্টার মধ্যে মোট ৩০ জনের বাল কেটে এক অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই চারজন ব্যক্তি, তাদের কর্মদক্ষতা ও দলগত সমন্বয়ের মাধ্যমে এই বিপুল সংখ্যক বাল কাটার কাজটি সম্পন্ন করেন।
আয়োজক কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতিটি বাল কাটাকেই 'সম্পূর্ণ' এবং 'গ্রহণযোগ্য' হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। প্রতিজন নাপিত গড়ে প্রায় সাত থেকে আটজনের বাল কাটার কাজ শেষ করেন, যার মানে প্রতি জনের জন্য গড়ে সময় লেগেছে প্রায় আট থেকে দশ মিনিট। বাল কাটার এই সময়কালে তাদের বিরতি নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

এই প্রচেষ্টার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল তাদের দক্ষতা ও দ্রুততার একটি অসামান্য প্রদর্শনী। যদিও এর ফলস্বরূপ কোনো আনুষ্ঠানিক বিশ্বরেকর্ড স্থাপিত হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে তাদের এই দলবদ্ধ প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রতিটি নাপিতের ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছিল একই ধরনের, যাতে কাজের গুণগত মানে কোনো তারতম্য না আসে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক দল পুরো প্রক্রিয়াটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং চুল কাটার সংখ্যাটি যাচাই করে।

এই চারজনের নিখুঁত গতি, সরঞ্জাম ব্যবহারের দক্ষতা, এবং একে অপরের সাথে নিরবচ্ছিন্ন বোঝাপড়া এই দ্রুতগতির কাজটিকে সম্ভব করে তুলেছে। প্রতিযোগিতার শেষে, চারজনকেই তাদের এই ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়। যদিও তারা তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় বা কোনো প্রকার মন্তব্য জানাতে রাজি হননি, তবুও তাদের এই অসাধারণ গতি এবং কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য দলগত সহযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। পুরো ঘটনাটি স্থানীয় কর্ম-দক্ষতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।

ভারতের চেয়ে পাকিস্তান আমাদের বন্ধু" - নাহিদ ইসলাম

ভারতের চেয়ে পাকিস্তান আমাদের বন্ধু" - নাহিদ ইসলাম

সম্প্রতি, একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নাহিদ ইসলাম নামক একজন ব্যক্তি একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে জনমনে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। তিনি সরাসরি বলেন যে বন্ধুত্বের নিরিখে তিনি ভারত-এর তুলনায় পাকিস্তান-কে 'ভালো বন্ধু' হিসেবে দেখেন। তাঁর এই বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যদিও তাঁর ব্যক্তিগত পরিচিতি বা তাঁর মন্তব্যটি ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।


নাহিদ ইসলামের এই বিবৃতিটি একটি সহজ এবং সোজাসাপটা বাক্য হলেও এর গভীরতা ও প্রভাব সুদূরপ্রসারী। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিল সময়ে যখন দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত এবং পাকিস্তান-এর মধ্যে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা ও পারস্পরিক আস্থা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে, তখন তাঁর এই মন্তব্যটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।

তাঁর বক্তব্যটি সরাসরি দুটি দেশকে বন্ধুত্বের পাল্লায় মাপে। তিনি পাকিস্তান-এর পক্ষকে 'ভালো বন্ধু' হিসেবে চিহ্নিত করেন, যা প্রকারান্তরে ভারত-এর সঙ্গে সম্পর্ককে তুলনামূলকভাবে দুর্বল বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরে। এই ধরনের মন্তব্য সাধারণত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ভূ-রাজনৈতিক বোঝাপড়া বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তৈরি হয়। তবে নাহিদ ইসলাম-এর ক্ষেত্রে, তিনি তাঁর এই বক্তব্যের পিছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বা ঐতিহাসিক উদাহরণ দেননি। বিবৃতিটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবেই গণ্য হচ্ছে।

নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অল্প সময়ের জন্য হলেও যথেষ্ট আলোচিত হয়েছে। বহু নেটিজেন এই মন্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিকে 'সাহসী' বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার অনেকে এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য তাঁর সমালোচনা করেছেন। তবে, যেহেতু নাহিদ ইসলামের পেশাগত পরিচয়, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই, তাই তাঁর মন্তব্যটির প্রভাব বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে পড়েনি।

সাধারণত, যখন কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এই ধরনের মন্তব্য করেন, তখন তা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে বা কূটনৈতিক আলোচনায় প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু নাহিদ ইসলাম-এর ক্ষেত্রে, তাঁর অবস্থান বা প্রভাবের অভাবে এই বিবৃতিটি স্রেফ একটি ব্যক্তিগত মতামত হিসেবেই রয়ে গেছে। মন্তব্যটির গুরুত্ব কেবলই একটি স্থানীয় বিতর্ক-এর জন্ম দিয়েছে, যার মূল ফোকাস হচ্ছে দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ধারণা।

সংবাদমাধ্যম এই বিবৃতিটি প্রকাশ করার সময় একটি নিরপেক্ষ সুর বজায় রেখেছে। তারা কেবল মন্তব্যটি তুলে ধরেছে এবং এর ফলস্বরূপ হওয়া জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধ করেছে। কোনো সংবাদমাধ্যমই নাহিদ ইসলামের মন্তব্যের সত্যতা বা যৌক্তিকতা নিয়ে সরাসরি কোনো রায় দেয়নি। প্রতিবেদনগুলি কেবল এই তথ্যটির উপর জোর দিয়েছে যে একজন ব্যক্তি এমন একটি মন্তব্য করেছেন যা সংবেদনশীল এবং বিতর্কমূলক হতে পারে। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য করার পেছনের উদ্দেশ্য বা কারণ এখনো অস্পষ্ট।

বর্তমানে নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্যের উপর আর কোনো অনুসরণমূলক বিবৃতি বা ব্যাখ্যা আসেনি। সংবাদমাধ্যম ও জনসাধারণ এখন অপেক্ষায় আছেন যে তিনি তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে কোনো প্রমাণ বা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন কিনা। অথবা এই মন্তব্যটি কেবল একটি সাময়িক প্রতিক্রিয়া হিসেবে থেকে যায়, যা কিছুদিনের মধ্যেই আলোচনার বাইরে চলে যাবে।

নাহিদ ইসলামের 'ভারতের চেয়ে পাকিস্তান ভালো বন্ধু' মন্তব্যটি একটি চাঞ্চল্যকর শিরোনাম তৈরি করলেও, তাঁর অজ্ঞাত পরিচয় এবং মন্তব্যের পেছনের তথ্য-প্রমাণের অভাব এর গুরুত্বকে সীমিত করেছে। এটি আপাতত একটি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে, যা রাষ্ট্রীয় বা কূটনৈতিক স্তরে কোনো বড় প্রভাব ফেলেনি। তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ বা এই বিষয়ে তাঁর বিস্তারিত ব্যাখ্যাই ভবিষ্যতে এই বিবৃতির গুরুত্ব নির্ধারণ করবে।

এআই তৈরি ফেক ছবি আপলোডে বিপাকে ড.ইউনুস

এআই তৈরি ফেক ছবি আপলোডে বিপাকে ড.ইউনুস

AI তৈরি ফেক ছবি আপলোডে বিপাকে ড.ইউনুস

সরাসরি ঘটনাস্থল থেকে: নমস্কার, আমি আব্দুল মজিদ, আর আপনারা দেখছেন "বালের খবর"! প্রতি রাতের মতো আজও আমরা হাজির—হালকা হাসির মোড়কে কড়কড়ে গসিপ পরিবেশন করতে।


আজকের সবথেকে গরম খবর: আমাদের নোবেলজয়ী, যাকে আমরা সবাই চিনি, সেই ড. ইউনুস নাকি এক মারাত্মক ডিজিটাল বিপাকে পড়েছেন! খবর আসছে যে তিনি নাকি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে এমন একটি ছবি আপলোড করেছেন, যা পুরোপুরি 'এআই' (AI) দ্বারা তৈরি, মানে ফেক!

ঘটনাটি ঠিক কী?
জানা যাচ্ছে, ড. সাহেব সম্প্রতি তাঁর নিজের একটি 'খুবই স্টাইলিশ' ছবি আপলোড করেন। ছবিতে দেখা যায়, তিনি 'ক্যাজুয়াল লুক'-এ—গায়ে একটা ছেঁড়া-ফাটা জিন্সের জ্যাকেট, চোখে গোল সানগ্লাস, আর হাতে কফি মগ। ক্যাপশনে লেখা: "কর্মব্যস্ত দিন শেষে, একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার।"

কিন্তু ঝামেলা বাঁধলো তখনই, যখন তাঁর এক ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ ভক্ত ছবিটি জুম করে দেখেন। জুম করে দেখা যায়, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা একটা কলাগাছের ফলগুলো—মানে কলাগুলো—উল্টো দিকে পাকছে! শুধু তাই নয়, ড. সাহেবের বাম হাতের আঙ্গুলগুলো দেখতে অনেকটা ছয়-আঙ্গুলের মতো লাগছে, আর তাঁর কফি মগটি শূন্যে ভাসছে, কোনো হাতল নেই! এআই-এর তৈরি ফেক ছবির ক্লাসিক ভুল!

ভক্তরা কমেন্ট বক্সে হাসাহাসি শুরু করে দেন। একজন লিখেছেন, "স্যার, এখন কি **'অসম্ভবের অর্থনীতি'**র পাশাপাশি 'উল্টো কলাতত্ত্ব' নিয়েও গবেষণা করবেন?" আরেকজন জিজ্ঞেস করেছেন, "স্যার, কফি মগটা কি 'Microfinance for Mug Holders'-এর নতুন প্রকল্প? হাওয়ায় ভাসছে যে!"

বালের খবরের পক্ষ থেকে আমরা ড. সাহেবের ডিজিটাল টিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তাঁদের মুখপাত্র (যিনি সম্ভবত ড. সাহেবের নাতি) ফিসফিস করে জানান, "আসলে কী জানেন? স্যার তাঁর নাতিকে বলেছিলেন, 'একটা ড্যাশিং প্রোফাইল পিকচার চাই!' নাতি বেচারা গুগল থেকে একটা 'এআই আর্ট' নামিয়ে স্যারের মুখটা বসিয়ে দিয়েছিল। সে ভাবতেও পারেনি, কলাগাছ আর আঙ্গুল এত বড় ট্রোলিং ইস্যু হবে।"

ড. ইউনুস নাকি নিজেই পরে ছবিটি ডিলিট করে দিয়েছেন এবং তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তিনি নাকি এখন গভীর চিন্তায় মগ্ন—'কীভাবে এই এআই-কে গরিব মানুষের কাজে লাগানো যায়, যাতে গরিবেরা কলা গাছের ফল উল্টোদিকে পাকাতে পারে'।

এই ঘটনা আমাদের আবারও প্রমাণ করে দিল—জীবন হোক বা ফেসবুক, সামান্য কলাগাছ আর আঙ্গুলের ভুলও অনেক সময় নোবেলজয়ীর কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে। তাই, সাবধানে থাকবেন, আর ছবি আপলোড করার আগে জুম করে দেখবেন, কলাগুলো ঠিক দিকে আছে কিনা!

আজ এই পর্যন্তই! আগামীকাল আবার দেখা হবে নতুন কোনো "বালের খবর" নিয়ে। দেখতে থাকুন, হাসতে থাকুন!

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

তাসলিমা জারা গালি নাকি প্রেমের ডাক : এনসিপি

তাসলিমা জারা গালি নাকি প্রেমের ডাক : এনসিপি

বালের খবর'-এর আজকের এই বিশেষ পর্বে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আমি আপনাদের সঞ্চালক, আলীফ লায়লা। চলুন, সরাসরি চলে যাই আমাদের আজকের সবচেয়ে গরম খবরে!



'গালি' নাকি 'প্রেমের ডাক'?

আজকে যে খবরটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব, সেটা রীতিমতো টক অফ দ্য টাউন! আমাদের হাতে খবর এসেছে যে, ন্যাশনাল চাটিঙ পার্টির (এনসিপি)-এর সভাপতি, মাননীয় জনাব জাদুকর খান, ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেছেন যে দেশের জনপ্রিয় সিঙ্গারা-কফি-চ্যাট (এসসিসি) ম্যাম এবং সোশ্যাল মিডিয়া তারকা তাসলিমা জারা তাঁকে নাকি খাঁটি দেশি গালি দিয়েছেন!

শুনতে কেমন যেন লাগছে, তাই না? অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, একটি জনপ্রিয় অনলাইন গেমে তাসলিমা জারা নাকি তাঁকে 'ডিম' বলে সম্বোধন করেছেন। ডিম! মানে, ডিম ভাজি? না কি পোচ? এনসিপি সভাপতির দাবি, এই 'ডিম' শব্দটি আসলে 'অতি গোপনীয়' একটি গালি, যা দেশের রাজনৈতিক মহলে তীব্র অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যদিকে, তাসলিমা জারার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টিকটক তারকা জানিয়েছেন, ম্যাডাম জারা নাকি ডিম বলতে 'ডায়নামিক ইন্টেলিজেন্ট ম্যাকাও' (DIM) অর্থাৎ 'শক্তিশালী বুদ্ধিমান টিয়া পাখি' বোঝাতে চেয়েছেন। আসলে তিনি নাকি এনসিপি সভাপতিকে টিয়া পাখির মতো সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য প্রশংসা করছিলেন! এখন বলুন তো, এটা গালি, না কি 'প্রেমের ডাক'?

এনসিপি সভাপতির প্রতিক্রিয়া: কান্নার জল আর টিস্যু পেপার

এই অভিযোগ করার সময় এনসিপি সভাপতি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন যে, তিনি লাইভে নাকি তিন প্যাকেট টিস্যু পেপার শেষ করে ফেলেছেন! তাঁর চোখ দিয়ে নাকি বৃষ্টির মতো জল পড়ছিল। তিনি বলেছেন, "আমি দেশের জন্য লড়ি, আর তাসলিমা জারা আমাকে 'ডিম' বলে অপমান করেন! আমার হার্টবিট বেড়ে গেছে। আমি এটার উপযুক্ত বিচার চাই!"

আমরা তাঁর হার্টবিট চেক করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ কাঠবিড়ালির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।


এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কিন্তু বেশ মজার। রিকশা চালক শওকত ভাই বলেছেন, "ডিম তো ভালো জিনিস। সকালে একটা ডিম খেলে নাকি মাথা ঠাণ্ডা থাকে। তাসলিমা জারা হয়তো ওনাকে একটা ফ্রি টিপস দিয়েছেন!"

অন্যদিকে, একজন কলেজ ছাত্রী, ঝুমুর বলেছেন, "এইটা একটা ফালতু ইস্যু! আসল সমস্যা হলো, এলাকার ফুচকার দাম কেন বাড়ছে, সেইটা নিয়ে কেউ কথা বলে না!"

আমাদের 'বালের খবর'-এর পক্ষ থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এই 'ডিম' আসলে একটি গভীর দার্শনিক প্রশ্ন। এর উত্তর খুঁজতে আমরা এখন আন্ডার-গ্রাউন্ড গবেষণা শুরু করেছি।


যাই হোক, গালি হোক বা প্রশংসা, তাসলিমা জারা আর এনসিপি সভাপতির এই 'ডিম-কাঁদামাটি' নিয়ে এখন পুরো দেশ তোলপাড়। শেষমেশ বিচার কী হবে, সেটা সময়ই বলবে। হয়তো, দু'জনের মধ্যে একটি 'ডিম ফাইট' হতে পারে, অথবা হয়তো দু'জনেই একসাথে বসে ডিম কারি খাবেন!

আজ এই পর্যন্তই। মনে রাখবেন, 'বালের খবর' মানেই আপনার জীবনের যত অদরকারী কিন্তু মজার খবর! ভালো থাকবেন, আর টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখবেন!


ইসলামাবাদে হঠাৎ 'ভূমিকম্প'

ইসলামাবাদে হঠাৎ 'ভূমিকম্প'

"বালের খবর" এর তরফ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই স্বাগত! আমি বালু মিয়া, আপনাদের সাথে। আজকের বিশেষ আকর্ষণ: পাকিস্তান কেঁপে ওঠার আসল কারণ!
ব্রেকিং নিউজ: ইসলামাবাদে হঠাৎ 'ভূমিকম্প', আসল কারণ জানলে হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাবে!
ভূমিকম্প নাকি 'ডাল-ভাত' সংকট?
গতকাল সন্ধ্যায়, হঠাৎ করেই পাকিস্তানজুড়ে একটা চাপা উত্তেজনা। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে করাচি—সব জায়গাতেই নাকি মানুষজন অনুভব করেছেন এক ভয়ংকর কম্পন! চারিদিকে গুঞ্জন, আতঙ্ক—কেউ বলছেন ভূমিকম্প, কেউ বলছেন অন্য কিছু!
কিন্তু বালের খবর আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে আসল খবর। আমাদের নিজস্ব 'গবেষক' দল চব্বিশ ঘণ্টা ধরে মশলা, ঝাল আর গোয়েন্দাগিরি করার পর জানতে পেরেছে এই কম্পনের পেছনের আসল গল্প!
জানা গেছে, এই কম্পনের উৎস আসলে ভূতাত্ত্বিক কারণে নয়, বরং অর্থনৈতিক কারণে!
ব্যাপারটা হলো: পাকিস্তানের এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের বাড়িতে রান্না হচ্ছিল 'শাহী ডাল'। কিন্তু দেশের বর্তমান আর্থিক সংকটের জেরে সেই ডালের মধ্যে ভুল করে পেঁয়াজের বদলে পড়ে গিয়েছিল একটি মাঝারি আকারের পাথর! সেই পাথরটি ডালের সঙ্গে সেদ্ধ হতে না পেরে কড়াইয়ের তলায় গিয়ে যখন বাড়ি মারল, তখন যে বিকট আওয়াজ এবং কম্পন হলো, তাতেই কেঁপে উঠল পুরো দেশ!

আমাদের 'বিশেষ প্রতিবেদক' বুলবুল ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে চাক্ষুষ দেখেছেন—পাথরটি ছিল আকারে প্রায় একটা দেশি আলুর সমান, আর তার ওজন নাকি প্রায় আটশ' গ্রাম!
ঐ রাজনীতিবিদের বাড়ির বাবুর্চি, রফিক চাচার ভাষ্য: "আরে ভাই, পেঁয়াজের যা দাম! তাই ভাবলাম একটা 'দেশি স্টোনের' ফ্লেভার দিই! কে জানত এই 'ইমপ্রোভাইজেশন' এমন 'ভূমিকম্প' ডেকে আনবে? এখন দেশজুড়ে সবাই আমাকেই খুঁজছে! কী আর করা, পরের বার লাউয়ের খোসা দিয়ে ট্রাই করব।"

জনগণের প্রতিক্রিয়া: 'ভূমিকম্প' নাকি 'পেঁয়াজের দাম'?
এই ঘটনায় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন সাধারণ রিকশাচালক, আব্দুল জানালেন, "আমি তো ভাবলাম, আবার বুঝি কেউ বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ধরিয়ে দিল! সেটার চেয়ে বরং ভূমিকম্পই ভালো।"
অন্য একজন প্রবীণ নাগরিক, খুরশিদ চাচা, হাসি চেপে বললেন, "আরে বাবা! পেঁয়াজের দাম বাড়লে ভূমিকম্প হবে না তো কি হবে? মানুষের মাথায় হাত, আর পাথর পড়ছে কড়াইয়ের ভেতর! এটাই তো আজকের বিশ্বের নিউ নরমাল!"

বালের খবরের বিশেষ মন্তব্য
এই খবর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, ভূমিকম্পের চেয়েও মারাত্মক জিনিস হলো যখন ডাল-ভাতের মেনুতে অন্য কিছু ঢুকে যায়! আমরা আশা করব, পাকিস্তান সরকার দ্রুত এই 'ডাল-পাথর' সমস্যার সমাধান করবে এবং দেশের মানুষ যাতে পেঁয়াজের দাম নিয়ে আর কোনো 'শকিং নিউজ' না পায়!

আজ এই পর্যন্তই! ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর আমাদের সঙ্গে থাকুন। মনে রাখবেন, বাল আছে, তাই খবর আছে!